ঘটনাটা গত শুক্রবারের। মিসরে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে সুয়েজের মুখোমুখি হয়েছিল আল–নাসর। ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে আল–নাসরের খেলোয়াড়েরা ভেবেছিলেন সমতাসূচক গোলটি তুলে নেওয়া গেছে।
বিধি বাম, স্বাগতিক দল সুয়েজের খেলোয়াড়েরা ‘হ্যান্ডবল’–এর দাবিতে গোলটি বাতিল করতে বলেন। পরিস্থিতি এরপর ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দুই দলের খেলোয়াড় এবং স্টাফ তো ছিলেনই, দর্শকেরাও মাঠে ঢুকে পড়েন। গোলমালটা বেধেছে তারপরই।
ম্যাচে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি ছিল না। ২–১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ফ্রিকিক থেকে আল–নাসরের শটটি গোল ছিল কি না, তা নিশ্চিত হতে অদ্ভুত এক কাণ্ড করে বসেন সে ম্যাচের রেফারি মোহাম্মদ ফারুক।
এ
ক দর্শকের ফোনে ম্যাচের সেই মুহূর্তের ভিডিও রিপ্লে দেখে হ্যান্ডবলের অপরাধে গোলটি বাতিল করেন এ রেফারি। এতে শাস্তি এড়াতে পারেননি ফারুক এবং সে ম্যাচের গোটা ম্যাচ ডে স্টাফ। মিসর ফুটবল ফেডারেশন রেফারি ফারুক এবং এই ম্যাচের সব স্টাফকে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ নিষিদ্ধ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অনলাইন’ জানিয়েছে, ফ্রিকিক থেকে হেডে বল সুয়েজের জালে জড়ানোর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সুয়েজের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি স্বাগতিক সমর্থকেরাও মাঠে ঢুকে হ্যান্ডবলের দাবিতে গোলটি বাতিল করতে বলেন রেফারি ফারুককে। দুই খেলোয়াড়েরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। বিপদ বুঝতে পেরে মানবদেয়ালের সাহায্যে টাচলাইনের বাইরে গিয়ে মুঠোফোনে ভিডিও দেখেন ফারুক।
বিবিসি জানিয়েছে, পরে পুলিশের সহায়তা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ফারুক। আল–নাসরের স্টাফ তখন রেফারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে। অবশ্য আল–নাসরের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের রাগ হবে না কেন!
গোলটি বাতিল হওয়ায় এমনিতেই ২–১ গোলে পিছিয়ে ছিল, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর আরও একটি গোল হজম করে ৩–১ ব্যবধানে হেরেছে আল–নাসর। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ১৫ মিনিট যোগ করা সময় দেওয়া হয়।
মিসর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ম্যাচের ঘটনাটি বুঝতে রেফারি মোহাম্মদ ফারুকের মুঠোফোন ব্যবহারের ঘটনাটি তদন্ত করবে কমিটি।’ মিসর রেফারিজ কমিটির প্রধান ভিত্তর পেরেইরার এই ম্যাচের রেফারি থেকে সব স্টাফকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :