Probas Report
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১

ইউসেপ বাংলাদেশের চেইনী দিবস পালিত

প্রবাস রিপোর্ট ডিসেম্বর ৪, ২০২২, ০৪:৫৮ পিএম ইউসেপ বাংলাদেশের চেইনী দিবস পালিত

সম্প্রতি ইউসেপ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডসে এ্যালান চেইনীর স্মরণে যথাযথ মর্যাদায় “চেইনী দিবস” পালিত হয়েছে। ইউসেপ বাংলাদেশের প্রধান ও আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহ নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে দিনটি পালন করে। 

১৯৩১ সালে লিন্ডসে এ্যালান চেইনী নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহন করেন এবং ১৯৮৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন । চেইনীর স্মরণে ঢাকার নারিন্দায় অবস্থিত খ্রিষ্টান সমাধিস্থলে একটি স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। ইউসেপ বাংলাদেশের বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারপারসন জনাব পারভিন মাহমুদ এফসিএ এবং নির্বাহী পরিচালক ড. মো: আবদুল করিম এ্যালান চেইনীর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

স্মরণ সভায় পারভীন মাহমুদ এফসিএ বাংলাদেশের দারিদ্রপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে চেইনীর মানবিক ভূমিকা কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, একজন বিদেশী হওয়ার পরও চেইনী বাংলাদেশের শিক্ষা বিস্তার ও অন্যান্য সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে যে ভূমিকা রেখেছেন তাতে তিনি এদেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

নির্বাহী পরিচালক ড. মো: আবদুল করিম বলেন, ১৯৭৩ সালে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত দেখে চেইনী তাদের জন্য কিছু করার কথা চিন্তা করেন। শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ইউসেপ বাংলাদেশ। বর্তমানে ইউসেপ বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৩৫ হাজার শিশু, কিশোর ও যুবাদের শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও শোভন কাজে সহায়তা প্রদান করছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নিউজিল্যান্ডের অনারারি কনসাল জনাব নিয়াজ আহমেদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরস এবং ইউসেপ এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ, ইউসেপের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু লিন্ডসে এ্যালান চেইনীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, ইউসিইপি বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে নিউজিল্যান্ডের জনাব লিন্ডসে অ্যালান চেইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। 'শিখতে সাহায্য করুন, উপার্জনের জন্য দক্ষতা' এই নীতির সাথে, ইউসিইপি বাংলাদেশ একটি বেসরকারি সংস্থা যা স্কুল বহির্ভূত শিশুদের দ্বিতীয় সুযোগ শিক্ষা প্রদান করে। এবং কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (TVET) এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপযুক্ত কাজ। এটির সামাজিক অন্তর্ভুক্তির উপর বিশেষ ফোকাস রয়েছে, তাই দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মহিলা, শিশু এবং যুবকদের অগ্রাধিকার দেয়।

Side banner