টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের নামে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সিইও পরাগ আগরওয়ালসহ চাকরি হারানো শীর্ষ তিন কর্মকর্তা। পাওনা অর্থ পরিশোধের দাবিতে গতকাল সোমবার তাঁরা এই মামলা করেন।
গত বছর টুইটার কিনে নেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। পরে নিজেই প্রতিষ্ঠানটির সিইওর দায়িত্ব নেন। বরখাস্ত করা হয় সিইও ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়ালসহ শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তাকে। এই তালিকায় ছিলেন টুইটারের সাবেক প্রধান আইন কর্মকর্তা বিজয়া গাড্ডে ও সাবেক প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগাল।
এখন মামলার এজাহারে পরাগ, বিজয়া ও নেড দাবি করেছেন, টুইটার থেকে চাকরি হারানোর পর তাঁদের তদন্ত এবং মামলা পরিচালনা বাবদ খরচ করতে হয়েছে। আইনত এ খরচ টুইটার কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য। কিন্তু এই খরচ দেওয়া হচ্ছে না। তাই পাওনা বাবদ ১০ লাখের বেশি ডলার আদায়ে মামলা করেছেন তাঁরা।
মামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি ইমোজি পাঠিয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে।
ইলন মাস্ক টুইটার কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেন গত বছরের মার্চে। ওই বছরের ১৪ এপ্রিল টুইটার পুরোপুরি কিনে নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেন এই ধনকুবের। এরপর অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ, চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা এবং শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হওয়া—বহু জল ঘোলা করে অবশেষে অক্টোবরে টুইটারের মালিকানায় যুক্ত হন মাস্ক।
টুইটারের মালিকানা গ্রহণের পরপর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা ছাড়াও বিভিন্ন নতুন নিয়ম করতে থাকেন ইলন মাস্ক। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাহকদের জন্য মাসে ৮ ডলারের (৭ দশমিক ৯৯ ডলার) বিনিময়ে টুইটারের ‘ব্লু টিক’ সেবা চালু করা, কর্মীদের দীর্ঘ সময় (১২ ঘণ্টা) কাজ করতে বলা, যাঁরা বাড়িতে বসে কাজ করছিলেন, তাঁদের অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ ইত্যাদি।
সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাই করেও আলোচনায় আসেন ইলন মাস্ক। রাজস্ব আয় কমে যাওয়ায় কারণ দেখিয়ে গত নভেম্বরে টুইটার একসঙ্গে ৩ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করে। এরপরেও কয়েক দফায় কর্মী ছাঁটাই করে প্রতিষ্ঠানটি।
আপনার মতামত লিখুন :