ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের (পিআইজে) আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ছবি: রয়টারঅস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে।
দুই পক্ষের মধ্যকার এ অস্ত্রবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছে মিসর। দেশটির আল-কাহেরা টেলিভিশন চ্যানেল গতকাল এক প্রতিবেদনে জানায়, উভয় পক্ষই অস্ত্রবিরতির সমঝোতার শর্ত মেনে চলতে সম্মত হয়েছে।
গত কয়েক দিনের এ সংঘাতে গাজায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্য অন্তত ১৩ বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে ইসরায়েলে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা রকেট হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এবং গাজা থেকে কাজের অনুমতি নিয়ে ইসরায়েলে যাওয়া একজন ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।
আল-কাহেরা টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দুই পক্ষই অস্ত্রবিরতি মেনে চলবে। বেসরকারি নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু না বানানো, বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া ও এক অপরকে ভূখণ্ড লক্ষ্য করে চালানো হামলা অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হবে।’
অস্ত্রবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী গ্রুপের মুখপাত্র দাউদ শেহাব বলেন, ‘মিসরের অস্ত্রবিরতির ঘোষণা আমরা মেনে নিয়েছি এবং দখলদার ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত অস্ত্রবিরতির শর্ত মেনে চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরাও তা মেনে চলব।’
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও অস্ত্রবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে দেশটির সামরিক কর্মকর্তা উইলেম মার্কস জানান, অস্ত্রবিরতির ‘পরিস্থিতি মূল্যায়ন’ করা হবে।
সর্বশেষ এ সংঘাতের শুরু গত মঙ্গলবার। ওই দিনের ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হন। দেশটির দাবি, ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের (পিআইজে) আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। আগের সপ্তাহে তাদের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে চালানো জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে এবং এ হামলায় ইসলামপন্থী জিহাদিদেরই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
তবে গাজার বাসিন্দারা জানান, সংঘাতে জড়িত নন, এমন সাধারণ মানুষের বাড়িঘরেও হামলা চালানো হয়েছে।
পিআইজে জানায়, ইসরায়েলি হামলায় তাদের তিন নেতা জিহাদ আল-ঘান্নাম, খলিল আল-বাহতিনি ও তারিক উজ আল-দীন নিহত হয়েছেন। হামলায় নিহত হয়েছেন এই তিন নেতার স্ত্রী-সন্তানেরাও। পরের দিনের হামলায় ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করে, ইসলামিক জিহাদের পাঁচ নেতা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করে, তারা গাজার ২১৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
ইসরায়েলের বিমান হামলার জবাবে ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলের দিকে হাজারের বেশি রকেট ছোড়েন।
আপনার মতামত লিখুন :