Probas Report
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১

প্রাথমিক অবস্থায় ডাউন সিনড্রোম শনাক্ত জরুরি

প্রবাস রিপোর্ট | অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু এপ্রিল ২, ২০২৩, ১২:২৫ পিএম প্রাথমিক অবস্থায় ডাউন সিনড্রোম শনাক্ত জরুরি

ডাউন সিনড্রোম একটি বংশানুগতিক সমস্যা এবং শরীরে ক্রোমোজোমের বিশেষ ত্রুটির জন্য হয়। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির প্রতিটি দেহকোষে ২১তম ক্রোমোজোমে একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজোমের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়, যাকে ‘ট্রাইসোমি ২১’ বলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৮০০ শিশুর মধ্যে জন্ম নেয় একটি ডাউন সিনড্রোম শিশু। সারা বিশ্বে ডাউন সিনড্রোম মানুষ রয়েছে প্রায় ৭০ লাখ।

চেনার উপায়
•    মানবদেহে ডিএনএ বা ক্রোমোজোমের অসামঞ্জস্য দেখা দিলে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। ডাউন সিনড্রোম শিশুদের মাংসপেশির শিথিলতা, কম উচ্চতা, চোখের কোনা ওপরের দিকে ওঠানো, চ্যাপ্টা নাক, ছোট কান, হাতের তালুতে মাত্র একটি রেখা, জিব বের হয়ে থাকা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
•    এ ছাড়া কানে কম শোনা, কথা বলতে দেরি হওয়া, কম বুদ্ধি ইত্যাদি জটিলতাও দেখা দেয়।
•    অনেক সময় ডাউন সিনড্রোমের সঙ্গে জন্মগত হার্টের সমস্যা, থাইরয়েডের সমস্যাও থাকতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
•    বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো পরিচর্যা ও চিকিৎসার মাধ্যমে শারীরিক সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। উপযুক্ত পরিবেশ ও বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বড় করতে পারলে ডাউন সিনড্রোম শিশুরা কর্মক্ষম হয়ে অর্থবহ জীবন যাপন করতে পারে।
•    গর্ভাবস্থার প্রথম ২৪ সপ্তাহের মধ্যে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম শনাক্ত করা যায়। যেমন আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে গর্ভের শিশুর নাকের হাড় দেখা, মায়ের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোমের উপস্থিতি নির্ণয়, ভ্রূণের কোষ নিয়ে পরীক্ষা করা—এসবের মাধ্যমে গর্ভের শিশুটি ডাউন সিনড্রোমে আছে কি না, তা সহজেই যাচাই করা যায়।
চিকিৎসা
•    বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিচর্যা ও চিকিৎসার মাধ্যমে শারীরিক সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। উপযুক্ত পরিবেশ ও বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বড় করতে পারলে ডাউন সিনড্রোম শিশুরা কর্মক্ষম হয়ে অর্থবহ জীবন যাপন করতে পারে।
•    যেহেতু মায়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাউন সিনড্রোম শিশু হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে, তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানে অধিক বয়সে, বিশেষ করে ৩৫-এর বেশি বয়সীদের মা হওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়।
•    কোনো মায়ের আগের বাচ্চা যদি ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত থাকে, তবে পরের বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
•    অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, চেয়ারম্যান, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Side banner