গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে কঠোর অবস্থান বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গালান্ত কাটজ। চলমান বিমান ও স্থল হামলার মধ্যে মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যেতে ত্রাণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।
কাটজ বলেন, “ইসরায়েলের নীতিগত অবস্থান পরিষ্কার—গাজায় কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।” তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে কারও পক্ষ থেকে ত্রাণ সরবরাহ চালু করার কোনো পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি নেই। গত ২ মার্চ থেকেই গাজায় সব ধরনের ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রয়েছে, যার ফলে অঞ্চলটিতে নতুন করে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ সতর্ক করে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখনই গাজার মানবিক অবস্থা সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। ওসিএইচএ জানায়, দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি। এর ফলে খাদ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জ্বালানি ও পানি সংকট চরমে পৌঁছেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের যুক্ত করলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৭০০ জনে।
মানবিক সংস্থাগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, অবরোধ ও সহায়তা বন্ধ থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েল তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :