ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত ও এর আশপাশে তুমুল লড়াই চলছে বলে দাবি করেছে দেশটি। বাখমুতের প্রশাসনিক ভবন দখলের রাশিয়ার দাবি নিয়েও বিদ্রূপ করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
খনি ও শিল্পসমৃদ্ধ এই শহর নিয়ে চলমান যুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াইগুলোর একটি চলছে। গত রোববার রুশ-সমর্থিত বেসরকারি বাহিনী ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রশাসনিক ভবনে তাঁর বাহিনী রাশিয়ার পতাকা উড়িয়েছে। যদিও শহরের পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকায় অবস্থান ধরে রেখেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। তারা বলেছে, শহরের কাউন্সিল ভবন ঘিরে ব্যাপক লড়াই চলছে। আশপাশের শহরগুলোতেও লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বাখমুত ইউক্রেনের। তারা (রুশ বাহিনী) কিছুই দখল করতে পারেনি।’
রুশ ড্রোন ধ্বংসের দাবি
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার রাতভর পাল্টা হামলা চালিয়ে রাশিয়ার ১৪টি শাহেদ ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এসব ড্রোন ইরানের তৈরি।
বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনের আকাশে মোট ১৭টি ড্রোন হামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো আজভ সাগরের পূর্ব উপকূল থেকে ছোড়া হয়েছে।
ইউক্রেনের সাউথ মিলিটারি কমান্ড বলেছে, ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে ১৩টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু একটি ড্রোন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আঘাত হানলে আগুন ধরে যায়।
পশ্চিমাদের হাতে রক্তের দাগ
আজ মঙ্গলবার রুশ পার্লামেন্টের স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সমর্থন দেওয়ার মাধ্যমে পশ্চিমা নেতারা হতাহত মানুষের রক্তে তাঁদের হাত রঞ্জিত করেছেন। আর এই সমর্থনের মধ্য দিয়ে ইউরোপের কেন্দ্রে একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ তৈরি করা হচ্ছে।
টেলিগ্রামে ভোলোদিন লিখেছেন, জেলেনস্কির সরকারকে সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ও অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানের হাতে হতাহত মানুষের রক্তের দাগ লেগে আছে।
পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশিক্ষণ
এদিকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছেন বেলারুশের সেনারা। মঙ্গলবার মস্কো ও মিনস্কের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে।
বেলারুশের ভূখণ্ডে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সিদ্ধান্তের পর এই প্রশিক্ষণ শুরু হলো।
আপনার মতামত লিখুন :