Probas Report
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

১৪ মাসে ৫ মাস বন্ধ স্কুল, পড়ালেখা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

প্রবাস রিপোর্ট | অনলাইন ডেস্ক এপ্রিল ২২, ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম ১৪ মাসে ৫ মাস বন্ধ স্কুল, পড়ালেখা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা
নির্ধারিত ছুটি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পাবলিক পরীক্ষা ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় বছরের অর্ধেকের বেশি সময় বন্ধ থাকছে স্কুলের ক্লাস। ১৪ মাসে ৪২৭ দিনে ক্লাস হয়েছে মাত্র ১৪৮ দিন। এমন পরিস্থিতে সন্তানের পড়ালেখা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

 

দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যাহত হতে শিক্ষা কার্যক্রম। 

 

টানা ৪০ দিনের ছুটি শেষে এপ্রিল থেকে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায় আবারও প্রায় দেড় মাসের বন্ধের কবলে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের দেখা পাচ্ছে না টানা প্রায় তিন মাস। এ অবস্থা হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।

 

এখানেই শেষ নয়, আগামী জুন মাসের এইচএসসি পরীক্ষার কারণে আরেক দফা এক মাস বন্ধ থাকবে কলেজ ও কলেজ সংযুক্ত স্কুল। তাই এত বন্ধে সন্তানের পড়ালেখা নিয়ে উৎকণ্ঠায় অভিভাবকরা।

 

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু সময় সংবাদকে বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে বন্ধ ছিল ৪০ দিন। একদিন খুলে আবার এসএসসি পরীক্ষার বন্ধ। এতে তো পড়াশুনার অনেক ব্যাঘাত ঘটছে।’  

 

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযানের জরিপ বলছে, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪ মাসের ৪২৭ দিনের মধ্যে মাত্র ১৪৮ দিন স্কুল খোলা ছিল। আর পূর্ব নির্ধারিত ছুটি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় ২৭৯ দিনই স্কুল বন্ধ ছিল।

 

শুক্র ও শনিবারসহ বন্ধের দিনগুলোতে পাবলিক পরীক্ষা নেয়া হলে মাসের পর মাস প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সংষ্কৃতি থেকে অনেকটাই নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব বলছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

 

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, ‘বন্ধের দিনগুলোত পাবলিক পরীক্ষাগুলো আয়োজন করা গেলে বিদ্যালয় বন্ধের সমস্যাগুলো হয় না।’

 

ক্লাস বন্ধ থাকায় যে ঘাটতি হচ্ছে তা পুষিয়ে নিতে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও শিক্ষা কার্যক্রম জোরদারের পরিকল্পনা করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এছাড়া প্রতি উপজেলায় একটি করে পরীক্ষা কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে সমাধানের বিষয়টিও সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

 

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, 

 

জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করে সেখানে সবগুলো পরীক্ষার ব্যবস্থা করা গেলে খুবই ভালো একটা কাজ হবে। ফলে শ্রেণি কার্যক্রম আর ব্যাহত হবে না।

 

এছাড়া এক শিফটে ক্লাস, অন্য শিফটে পরীক্ষা নেয়া হলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

Side banner