Probas Report
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১
দৃষ্টিনন্দন এমন মসজিদ পেতে যাচ্ছে এমন খুশিতে স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লিরা

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের অপেক্ষায় লক্ষ্মীপুর জেলা মডেল মসজিদ

প্রবাস রিপোর্ট | মুকিতুর রহমান জানুয়ারি ১২, ২০২৪, ১১:৪০ পিএম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের অপেক্ষায় লক্ষ্মীপুর জেলা মডেল মসজিদ
ছবি: মুকিতুর রহমান

প্রধানমন্ত্রীর ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি প্রদান অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর জেলা সদরে দ্রুত সময়ে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে খুব দ্রুত সময়ে পেতে যাচ্ছে মডেল মসজিদটি। পুরোদমে চলছে নির্মাণ কাজ সহ সৌন্দর্যবর্ধন কাজ। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দৃষ্টি নন্দন হয়ে উঠছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। প্রতিদিন এক একটি রুপ দেয় মসজিদটির। ভেতর বাইরে চলছে রং এর কাজ ও সৌন্দর্যবর্ধন। মডেল মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষে হলে এখানে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। 

 

চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদটির প্রতি ফ্লোরের আয়তন দুই হাজার ৩৬০ দশমিক নয় বর্গমিটার। জেলা সদরে মডেল মসজিদটি কাজ সম্পন্ন হলে লক্ষ্মীপুরে হয়ে উঠবে আলোর জলমল। প্রাণচঞ্চল বেড়ে যাবে সব ধরণের মানুষের। জানা গেছে, মসজিদটিতে শুধু নামাজ আদায় নয়, এখানে হবে গবেষণা ইসলামি সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র। একই কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের আলাদা ওজু এবং নামাজ আদায়ের সুবিধা থাকবে, থাকবে লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কুরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষা কেন্দ্র এবং ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা ও গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে এখানে।

 

দৃষ্টিনন্দন এমন মসজিদ পেতে যাচ্ছে এমন খুশিতে স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লিরা জানান, এতো সুন্দর দৃষ্টি নন্দন মসজিদ লক্ষ্মীপুরে হচ্ছে বিষয়টি স্বপ্নের মতো। সরকার মুসল্লিদের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে সাধুবাদ জানান তারা। বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ইসলাম ধর্মীয় ইবাদত ও শিক্ষার অনুশীলনের আধুনিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রকল্প এটি। 

 

কাজটি করছে গণপূর্ত বিভাগ। মোট ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে হবে বলে জানা যায়। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য ৮ হাজার ৭২২ কেটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুমোদন দেন। জেলা পর্যায়ে ৪ তলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৩ তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সবমিলিয়ে দেশব্যাপী শক্তিশালী ইসলামি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা। সারাদেশে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও প্রকৃত মূল্যবোধের প্রচার ও দীক্ষাদান চালু করা, সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, পুরুষ-নারী মুসল্লিদের জন্য নামাজ, ধর্মীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দীনি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভৌত সুবিধাদি সৃষ্টি করা, ইসলামিক জ্ঞান ও সংস্কৃতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ইসলামি মূল্যবোধের পরিচর্যা ও প্রসার করা এবং সততা ও ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আনুগত্য সমর্থন সৃষ্টি করায় মূলত লক্ষ্য।

Side banner