করোনা মহামারির সময়ে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বের মানুষ। পর্যটন খাতে নেমেছিল ধস। মহামারির প্রকোপ থেকে বিশ্ব যখন স্বাভাবিক হতে শুরু করে, তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ কারণে মানুষ ব্যয় কমানোয় পর্যটন খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।
এমন পরিস্থিতিতে পর্যটক আকর্ষণে বিভিন্ন ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়েছে অনেক দেশ। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে তাইওয়ান। স্বশাসিত দ্বীপটির সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেখানে ঘুরতে গেলে একজন পর্যটক ১৬৫ মার্কিন ডলার পাবেন। এ ছাড়া দল নিয়ে তাইওয়ান ভ্রমণে গেলেও পর্যটকদের নগদ অর্থ দেওয়া হবে।
পর্যটক আকর্ষণে উচ্চাভিলাষী একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তাইওয়ান। এরই অংশ হিসেবে দ্বীপটির সরকারপ্রধান চেন চিয়েন-জেন গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৩ সালে তাইওয়ানে ৬০ লাখ পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা এক কোটিতে নেওয়ার লক্ষ্য আছে।
তাইওয়ানের পর্যটন ব্যুরোর ঘোষণা অনুযায়ী, একজন পর্যটককে পাঁচ হাজার তাইওয়ানি ডলার দেওয়া হবে। মোট পাঁচ লাখ পর্যটককে এই নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া দল নিয়ে অর্থাৎ কয়েকজন মিলে তাইওয়ানে ঘুরতে যাবে এমন ৯০ হাজার পর্যটক দলের প্রতিটিকে ২০ হাজার করে তাইওয়ানি ডলার নগদে দেওয়া হবে।
তাইওয়ানের যোগাযোগমন্ত্রী ওয়াং কুয়ো-সাই গত বুধবার বলেছেন, তাইওয়ানে আসা পর্যটকদের এই নগদ প্রণোদনার অর্থ ডিজিটালভাবে দেওয়া হবে। এই অর্থ তাইওয়ানেই খরচ করতে হবে পর্যটকদের। তাইওয়ানে ঘুরতে গিয়ে সেখানে থাকা–খাওয়া বা পরিবহন খরচের ক্ষেত্রে পর্যটকেরা এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে কবে থেকে পর্যটকদের নগদ অর্থ দেওয়া হবে অথবা কীভাবে অর্থ পাওয়ার আবেদন করতে হবে, তাইওয়ানের সরকারের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি।
তাইওয়ান পর্যটন ব্যুরোর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৯ লাখের কম পর্যটক তাইওয়ান ভ্রমণ করেন। বেশির ভাগ পর্যটক ছিলেন ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের।
আপনার মতামত লিখুন :