ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা—যুক্তরাষ্ট্রের তোলা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটি।
গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিউবেন ব্রিগিটি এ অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার সাইমনস টাউন ঘাঁটি থেকে একটি রুশ জাহাজ অস্ত্র সংগ্রহ করে দেশে ফিরেছিল। ওই রুশ জাহাজটির বিরুদ্ধে আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন।
রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরুর পর থেকে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে দেশটি। এমনকি ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের সব ভোটাভুটিতে কোনো পক্ষে ভোট দেওয়া থেকেও বিরত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথ নৌমহড়ায় অংশ নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে কথা বলেছেন। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন দুই নেতা।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার যোগাযোগমন্ত্রী ও দেশটির ন্যাশনাল কনভেনশনাল আর্মস কন্ট্রোল কমিটির চেয়ারম্যান মন্দলি গাঙ্গুবেলে ওয়াশিংটনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাশিয়াকে দিতে কোনো অস্ত্রের চালানের অনুমোদন দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। এ জন্য অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :